পচা ভোট দিয়ে পোলিং অফিসারকে
জিজ্ঞাসা করল, “স্যার, আঙুলের এই দাগ কি জল দিয়ে
ধুলে যাবে?”
অফিসারঃ না।
পচাঃ তা হলে স্যার, সাবান
দিয়ে ধুলে যাবে?
অফিসারঃ না।
পচাঃ তাহলে স্যার কতদিন
পরে উঠবে?
অফিসারঃ (বিরক্ত) একবছর
পর যাবে।
পচাঃ তাহলে আরও একটু দেবেন, স্যার?
অফিসারঃ কেন?
পচাঃ চুলে লাগাব, স্যার। আজকাল হেয়ার ডাইগুলো এক
সপ্তাহের বেশি থাকে না।
পোলিং অফিসার অজ্ঞান।
রামবাবুর বাড়িতে চারজন বন্ধু
এসেছেন। রামবাবু
স্ত্রীকে চা বানাতে বললেন।
স্ত্রীঃ (রান্নাঘরে
রামবাবুকে ডাকলেন) চিনি তো সব শেষ, একফোঁটাও নেই। চা বানাব কী করে?
রামবাবুঃ তুমি বানাও তো
চা, বাকিটা আমি ম্যানেজ করে নেব।
রামবাবুর স্ত্রী চা বানিয়ে
পরিবেশন করলেন।
রামবাবুঃ বন্ধুরা, আজ
আমরা একটা মজার খেলা খেলব। এই চায়ের কাপগুলোর মধ্যে একটা কাপে চিনি দেওয়া
নেই। সবাই একটা
করে কাপ নেবেন। যার কাপে
চিনি থাকবে না, তিনি আগামী রবিবার আমাদের সবাইকে একটা বড়ো রেস্তোরাঁয়
নিয়ে গিয়ে খাওয়াবেন।
চা খাবার পর প্রশ্ন করা
হলে সবাই স্বীকার করে নিলেন তাদের চায়ে চিনি ঠিক ছিল। একজন তো বলেই বসলেন, “বৌদি কি আমার কাপে ডবল চিনি
দিয়েছিলেন নাকি?”
পাঁচু রাত বারোটায় নাচুকে
ফোন করেছে।
পাঁচুঃ নাচু, একটু
আমার বাড়িতে আয় না, জরুরি কাজ আছে।
নাচুঃ আমি এখন আসতে পারব
না, ঘুম পাচ্ছে।
পাঁচুঃ প্লিজ আয় না, জরুরি
কাজ আছে।
নাচুঃ বললাম তো আসতে পারব
না, ঘুমাব। গুড নাইট। (ফোন
অফ)
কিছুক্ষণ পর নাচু ভাবল খুব
জরুরি কাজ হবে হয়তো। এইসব ভাবতে ভাবতে নাচু পাঁচুর বাড়ি গেল।
নাচুঃ কী রে, কী
জরুরি কাজ তোর এত রাতে?
পাঁচুঃ বোস, চা-কফি কিছু
খাবি? (পাঁচু মনে মনে বলল, যদি তুই কিছু খাস তোকেই
বানাতে হবে। এই শীতে
আমি আর উঠছি না।)
নাচুঃ নাহ্, এত
রাতে অত ফর্ম্যালিটি করতে হবে না। কী কাজ করতে হবে তাড়াতাড়ি বল। আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে।
পাঁচুঃ টিভি আর লাইটের সুইচটা
একটু অফ করে দিয়ে যা, খুব শীত লাগছে, লেপ ছেড়ে উঠতে পারছি না। তাই তোকে ফোন করে ডাকলাম।
নাচু টিভি আর লাইটের সুইচটা
অফ করে ফ্যানের সুইচটা অন করে দিয়ে চলে গেল। দেখ কেমন লাগে।
আজকাল সবকিছুই অনলাইনে বা
ফোন করলেই পাওয়া যায়। সেদিন মিষ্টির দোকানে ফোন করলাম। ক্রিং ক্রিং...
“নমস্কার, অনলাইন সুইটস-এ স্বাগত। আপনার সন্দেশ দরকার হলে
১ টিপুন, রসগোল্লা হলে ২ টিপুন, দই লাগলে ৩ টিপুন, ভাজা
মিষ্টি লাগলে ৪ টিপুন, অন্য কোনও মিষ্টি লাগলে ৫ টিপুন।”
আমার রসগোল্লা দরকার ছিল, ২
টিপলাম।
“ধন্যবাদ। নরম পাকের রসগোল্লার জন্য ১ টিপুন, কড়া পাকের জন্যে ২ টিপুন, অন্যান্য
প্রকারের জন্যে ৩ টিপুন।”
৩ টিপলাম।
“ধন্যবাদ। বেকড রসগোল্লার জন্য ১ টিপুন,
কফি রসগোল্লার জন্যে ২ টিপুন, কেশর
রসগোল্লার জন্য ৩ টিপুন, সুগার ফ্রী রসগোল্লার জন্য ৪ টিপুন, স্পঞ্জ
রসগোল্লার জন্যে ৫ টিপুন, রাজভোগ রসগোল্লার জন্যে ৬ টিপুন, মূল
মেনুতে ফিরে যেতে ৯ টিপুন।”
উফ্, কী
বিরক্তিকর! টিপলাম ১।
“ধন্যবাদ। ১০ পিসের জন্য ১ টিপুন, ২০ পিসের জন্য ২ টিপুন, ৩০
পিসের জন্য ৩ টিপুন, ৫০ পিসের জন্য ৪ টিপুন, ১০০
পিসের জন্য ৫ টিপুন।”
ভুল করে ৫ টেপা হয়ে গেল। ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোনে
কেটে দিলাম। পরমুহূর্তে
ফোন বেজে উঠল। ক্রিং
ক্রিং...
“নমস্কার, অমুক সুইটস-এ স্বাগত। আপনার মোবাইল থেকে ১০০ পিস
রাজভোগ রসগোল্লার অর্ডার এসেছে, আপনার ঠিকানা বলুন।”
“কই, আমি তো অর্ডার দিইনি!”
“আপনার এই ফোনে থেকে এসেছে,
আপনার দাদা বা ভাই কেউ দিয়েছে।”
আমিও বললাম, “আজ্ঞে, আমরা
ছয় ভাই। বড়ো ভাইয়ের
জন্য ১ টিপুন, মেজ ভাইয়ের জন্য ২ টিপুন, সেজো
ভাইয়ের জন্য ৩ টিপুন, রাঙা ভাইয়ের...”
ফোনটা হঠাৎ কেটে গেল।
শিক্ষকঃ বলো তো, Grammar কাকে বলে?
বিলুঃ যারা গ্রামে থাকে
তাদেরকে Grammar বলে। যারা বাংলার গ্রামে থাকে তাদেরকে বাংলা Grammar এবং যারা বিদেশের গ্রামে থাকে তাদেরকে ইংলিশ Grammar বলে।
শিক্ষকঃ ফোর্ড বলতে কী বোঝ?
বিলুঃ গাড়ি, স্যার।
শিক্ষকঃ আর অক্সফোর্ড?
বিলুঃ গরুর গাড়ি, স্যার।
শিক্ষকঃ বলো তো বিল্টু, তোমার
বাবা শতকরা ১০ টাকা হারে সুদে ব্যাঙ্ক থেকে ৫০০ টাকা লোন নিলেন। একবছর পর তিনি কত টাকা ফেরত
দেবেন?
বিলুঃ এক টাকাও না।
শিক্ষকঃ গাধা! এখনও
এই অঙ্কই জানো না?
বিলুঃ আমি অঙ্ক জানি, কিন্তু
আপনি আমার বাবাকে জানেন না স্যার।
বাবা আট বছরের ছেলেকে ঘরের
এককোণে নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বললো, “হ্যাঁ রে পাপু, আজ তোর মা এত চুপচাপ কেন
বল দেখি, ব্যাপারটা কী?
পাপুঃ আমারই ভুলের জন্যে
বাবা।
বাবাঃ কেন, তুই
আবার কি করলি?
পাপুঃ মা লিপস্টিক চেয়েছিল, আমি
ভুল করে ফেভিস্টিক দিয়ে ফেলেছি। ঠোঁটে মেখে বসে আছে।
বাবাঃ যুগ যুগ জিও বেটা! এমন
সন্তান, যেন ঘরে ঘরে জন্মায়।
No comments:
Post a Comment