তালার অন্তরালে
অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়
তালা
সভ্য জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাড়ি খালি করে বেড়াতে যাব, সবচাইতে আগে খুঁজি তালা। টাকাপয়সা বাড়িতে এনে আলমারিতে তুলে রেখে তালা লাগিয়ে দিই। ক’দিনের জন্য বেড়াতে যাব সবাই মিলে - ব্যাগ গুছিয়ে,
তার মুখ বন্ধ করে দিলাম এক তালা ঝুলিয়ে, পাছে কেউ
ব্যাগের জিনিস চুরি করে! স্কুল ছুটি হয়ে গেল, দারোয়ান গেট বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিল। গাড়ি থেকে
নেমে রিমোটের চাবি টিপে অটোমেটিক লক দিয়ে গাড়ি বন্ধ করে দিই। তালা আর চাবির
মাঝে বাঁধা পড়ে যাওয়া আমাদের জীবন। যুগ যুগ ধরে তালা মানুষের জীবনের অতি
আবশ্যক, নিত্য ব্যবহার্য এক বস্তু।
অসাধারণ
সব তালা বানাবার কারিগর যেমন আছে, তেমনি আছে সহজে তালা ভেঙে ফেলার মতো ওস্তাদ চোর। তাই বলে তালা না লাগিয়ে ঘর ছেড়ে কেউ বাইরে যায় না। বরং পারলে দুটো বেশি তালা লাগিয়ে ঘরকে সুরক্ষিত করা হয়। তালা লাগানোর পর হ্যাঁচকা টেনে দেখে নিতেও হয়, তালা ঠিকভাবে লাগানো হয়েছে তো! আগেকার দিনে রাজারাজড়ারা লোহার ইয়া বড়ো বড়ো সিন্দুকে ধনদৌলত রেখে, কোষাগারের দরজা বন্ধ করে, ষণ্ডা-গুন্ডা পাহারদার রেখেও নিশ্চিন্ত হতে পারতেন না। কোষাগারের চারদিকে পরিখা কেটে,
তার জলে ক্ষুধার্ত কুমীর ছেড়ে রেখে দিতেন যাতে চোর-ডাকাতের হাত সেইসব ধনদৌলতে না পড়ে।
তালা
গড়াটা যেমন এক শিল্প, তালা ভাঙাটিও চিরকালীন এক শিল্প। তবে পার্থক্য
এই যে, দ্বিতীয় কাজটি সমাজ ও
আইনস্বীকৃত নয়। তালা ভাঙার নিপুণ শিল্প স্বীকৃত না হলেও
সেই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য রোমাঞ্চে ভরা গল্প-উপন্যাস-নাটক, সিনেমার পর্দায় রূপ
দেওয়া হয়েছে সেইসব গল্পের। এমনকি বেদে উল্লিখিত আছে তালোঘাটিনি মন্ত্রের। সেই মন্ত্র পাঠ করলেই নাকি যেকোনও তালা মুহূর্তে খুলে যেত। যেকোনও
তালা নিপুণ হাতে ভেঙে ফেলতে পারে এমন চোরের গল্প লিখে গেছেন বিখ্যাত গল্পকার ও হেনরি। সেই গল্পটা আগে বলে নিই।
অল্পবয়সী
এক চোর ছিল এক শহরে। দক্ষ হাতে তালা ভাঙতে সে ছিল ওস্তাদ। যত বড়ো আর জটিল তালাই হোক না কেন, এক লহমায় খুট করে সেই তালা ভাঙার কায়দা তার মতো
আর কেউ জানত না। একবার ধরা পড়ে গিয়ে তিন বছরের জেল হয়ে
গেল সেই চোরের। এমনিতে তার পেটে কিছু বিদ্যে-টিদ্যে না থাকলেও মগজটা ছিল অতীব সরেস। চেহারাটা
তার ছিল দেখবার মতো – লম্বা চওড়া, যেন সিনেমার হিরো! ব্যবহারটি ছিল খাসা। জেলে গিয়ে সে চামড়া দিয়ে জুতো বানাবার
কাজ শিখে, সুন্দর সুন্দর জুতো বানিয়ে
সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জেলার সাহেব
যুবকটিকে কিছু টাকা দিয়ে উপদেশ দিলেন যে,
সে যেন জীবনে কোনওদিন তালা ভাঙার মতো মহান কাজটি আর কক্ষনও না করে। যুবকটি এমন ভাব করল,
যেন তালা ভাঙা কাকে বলে তাই সে জানে না।
যাই
হোক, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার
পর ক’দিন এদিক ওদিক ঘুরে তার পকেটের সব টাকা গেল ফুরিয়ে। যে নতুন শহরে সে আস্তানা গেড়েছিল, সেই শহরের বিরাট এক ব্যাঙ্কে অত্যাধুনিক এক ভল্ট
লাগানো হল জমা হওয়া অর্থ সুরক্ষিত রাখবার জন্য। একদিন সকালে
আবিষ্কার হল, কে যেন নিপুণ
হাতে সেই ভল্টের তালা কেটে সব টাকাপয়সা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। শহরের পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ল সেই যুবকটির উপর। সে ছাড়া এই অসম্ভব কাজ আর কেই বা করতে পারে! প্রমাণাভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা গেল না। যুবকটি একদিন জুতো তৈরির কারখানা খুলে বিশাল বড়লোক হয়ে গেল আর
শীঘ্রই সে শহরের এক গণ্যমান্য ব্যক্তি হয়ে উঠল। বড়লোক হয়ে
গিয়ে একটি ব্যাঙ্কের মালিকের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়ে গেল। ব্যাঙ্কারের
ছিল পরমা সুন্দরী একটি মেয়ে। ব্যাঙ্কার তার মেয়ের সাথে যুবকটির বিয়ে
দেওয়া স্থির করে দিলেন।
ব্যাঙ্কে
নতুন তালা বসানো হয়েছে। ব্যাঙ্কার ভদ্রলোক শহরের যত বিশিষ্ট লোককে
নেমন্তন্ন করেছেন লকার উদ্বোধনের দিনে। জুতোর ব্যবসায়ী যুবকটিও নিমন্ত্রিত। শহরের এক জাঁদরেল গোয়েন্দাও আবার সেদিন নিমন্ত্রিতের দলে। সে যুবকটিকে নজরে রেখেছে,
কারণ আগের ব্যাঙ্কের তালা ভেঙে চুরির কোনও কূলকিনারা করা যায়নি। যুবকটির হাতে আছে চামড়ার এক সুদৃশ্য ব্যাগ। সেই ব্যাগে বন্দী তালা ভাঙার সরঞ্জাম - ধাতু ফুটো করার তুরপুন, ছোটো হাতুড়ি, সিঁদকাঠি, আরও কত
কী! চুরির কাজে তিলে তিলে গড়ে তোলা যন্ত্রপাতিসহ ব্যাগটি সেদিন
আরেক পুরনো সাথীকে হস্তান্তর করে চুরির জগত থেকে চিরকালের জন্য নিজেকে সরিয়ে নেবে বলে
মনস্থির করে ফেলেছিল সেই যুবকটি। ভল্ট উদ্বোধনের সময় ঘটা করে ব্যাঙ্কার
ঘোষণা করলেন, ভল্টের তালা
ভাঙতে পারে এমন লোক নাকি সারা পৃথিবীতে নেই। নতুন লাগানো
তালার গুণপনা মুখর হয়ে প্রচার করলেন।
উদ্বোধন
অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ একটি বাচ্চা মেয়ে খেলতে খেলতে ভল্টের ভিতর সবার অজান্তে ঢুকে পড়তেই
ভল্টের দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ব্যাঙ্কার হাহাকার করে উঠলেন। তালা খোলার বিচিত্র সংখ্যাটি তিনি তখনও সেট করে উঠতে পারেননি। কাজেই নম্বর ঘুরিয়ে তালা খুলে মেয়েটিকে উদ্ধার করা যাবে না। উপস্থিত সবাই শোরগোল ফেলে দিল। ব্যাঙ্কারের
মাথায় হাত, বাচ্চাটির
বাবা-মা কাকুতি মিনতি করতে লাগল তালা খুলে দেওয়ার জন্য।
এক
মুহূর্ত ভেবে নিয়ে, সামনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, সুন্দরী স্ত্রী ও প্রতিপত্তির
সম্ভাবনা ধুলোয় মিলিয়ে দিয়ে যুবকটি তার ব্যাগ খুলে যন্ত্রপাতি বার করে এক মিনিটের চেষ্টায়
অনায়াসে তালা খুলে ফেলল। ভল্ট থেকে বাচ্চাটি উদ্ধার
হলে সবাই ধন্য ধন্য করে উঠল।
তারপর
দেশের আইন অনুযায়ী তালা ভাঙার ওস্তাদের জেলে যাওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু না। গোয়েন্দাটি যুবকের হাতের ব্যাগের দিকে ইশারা করে বললেন, “আমি জানি স্যার, আপনি কাকে
এই ব্যাগ দিতে যাচ্ছেন। আমাকে দিন, আমি তার হাতে তুলে দেব। আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠুক।”
মর্মস্পর্শী
এই গল্পটি লেখা হয় বিংশ শতাব্দীর একেবারে গোড়ার দিকে। তাহলে বোঝা
যাচ্ছে, অদ্ভুত সব আধুনিক মজবুত
তালা বানানোর কৌশল তখন বাজারে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করছে। দ্বিতীয়ত, তালা যত মজবুতভাবেই বানানো হোক না কেন,
সে তালা ভাঙার লোক পাওয়া যাবে না, এ-কথা শুধু নির্বোধেই ভাববে।
সভ্য
মানুষ কবে থেকে তালা বানাবার প্রয়োজন বোধ করে সঠিকভাবে জানা অসম্ভব। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বলছে,
সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে সভ্যতার গোড়ার দিকে মানুষ ঘাসের দড়ি দিয়ে বড়ো বড়ো
বাক্স বা ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখত। রাজা বা ধনী ব্যক্তিরা তাদের প্রাসাদে
দরজা বন্ধ করে রাখতে কাঠের গুঁড়ি ব্যবহার করত। অনেকটা আজকের
দিনে দরজায় ব্যবহৃত হুড়কোর মতোই ছিল ব্যাপারটা। এগুলিকে ঠিক
তালা বলা সঙ্গত হবে না। তালা তাকেই বলা যাবে, যা খুলতে প্রয়োজন চাবি। মানে তালা আর চাবি পরস্পরের পরিপূরক। জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে মিশরে প্রথম তালা
আবিষ্কার হয়। সেই তালা ছিল কাঠের তৈরি। কাঠের পিন লাগানো এই তালা খুলতে হত লিভার জাতীয় চাবি দিয়ে (চিত্র১)। দরজার ফুটো
দিয়ে হাত গলিয়ে চাবি ঢুকাতে হত। তারপর চাবি একটু উঁচু করে তুললেই পিনগুলি
উপরে উঠে যেত, আর খুলে যেত
দরজার তালা। এই জাতীয় পিন প্যাডলকের ব্যবহার আজকের দিনে আধুনিক তালাতেও ব্যবহার
করা হয়।
চিত্র ১ঃ
মিশরীয় পিন প্যাডলক
খ্রিস্টের
জন্মের চার হাজার বছর আগে তালা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও পরবর্তী হাজার
তিনেক বছর খুব একটা উন্নতি হয়নি তালা বানাবার দক্ষতায়। তালা তৈরিতে
ধাতুর ব্যবহার শুরু হয় এক হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে। কাঠের জায়গায়
ধাতু ব্যবহার করায় তালা হয়ে উঠল আরও মজবুত। তাতে গঠনশৈলীর নানারকম কৌশল আর শিল্পকর্ম
দেখা গেল। চাবি হয়ে এল ছোটো,
খুব সহজেই তাকে পকেটে ভরে ফেলা যায়। রোমানরা এই
তালা শিল্পে অনেক এগিয়ে গেল। তাদের বানানো তালায় মিশরের কলাকুশলীদের
শিল্পের ছাপ দেখা গেলেও নিজস্বতা গড়ে উঠতে সময় লাগল না।
ঊনবিংশ
শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের ঢেউ তালা শিল্পেও এসে ধাক্কা দিল। নানারকম উদ্ভাবনী মননশীলতা দেখা গেল তালা তৈরিতে। অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশ যেমন গ্রীস, জার্মানি ও স্পেনেও তালা শিল্পে বিপ্লব ঘটে গেল। চোরেদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য অনেক উদ্ভট চিন্তাভাবনার ছাপ দেখা গেল
তালা নির্মাণে। যেমন, চাবি একটি নির্দিষ্ট ফুটোয় লাগিয়ে ঘুরিয়ে দিলে তবেই খোলা যাবে তালা,
কিন্তু তালায় অজস্র ফুটো লাগিয়ে দেওয়া হত চোরকে বিভ্রান্ত করবার জন্য। নির্দিষ্ট ফুটোটি খুঁজতে গিয়ে চোর গলদঘর্ম হয়ে যেত। খোদাই করা কারুকার্যে তালা তৈরির হিড়িক পড়ে গেল বিশ্ব জুড়ে। পশুপক্ষীর আদলে তালা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লাগল
তালাশিল্পীরা। সেসব তালাকে বলা হত,
‘মাস্টারপিস’ – যার মধ্যে বেশিরভাগ ব্যবহার না
করে শিল্পনিদর্শন হিসাবে সাজিয়ে রাখা হত। কোনও কোনও
তালা খুলতে হত একাধিক চাবি ব্যবহার করে। সেইসব বড়ো বড়ো তালা লাগানো হত রাজারাজড়াদের
কোষাগারে। ধর্ম স্থানে অর্থ ও সম্পদ পুঞ্জীভূত হতে থাকলে সেখানেও তালার চাহিদা
বেড়ে গেল। নামজাদা যে সমস্ত ইউরোপিয়ান তালাশিল্পী নতুন ধরনের তালা আবিষ্কার
করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন তাদের মধ্যে জোসেফ ব্রমহা, জেরেমি চাব, লিনুস ইয়েল,
জেমস সার্জেন্টের নাম উল্লেখযোগ্য। এদের নামের
ব্র্যান্ডের তালা বাজারে এখনও চালু আছে।
চিত্র ২ঃ
ভারতে তৈরি তালায় শিল্পকর্মের ছাপ
এরপর
এল ‘কম্বিনেশন লক’। তালার একটি চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটি বিশেষ নম্বর সেট করে দিলে
শুধুমাত্র সেই নম্বরে তালা খোলা যাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই তালাগুলো ড্রামের
আকারে তৈরি করা হত। সুটকেসে এখনও এই তালার ব্যবহার আমরা দেখতে পাই। এশিয়া মহাদেশে চিনও তালা তৈরিতে অনেক এগিয়ে যায়। ভারতের বাজারে চাইনিজ তালার জনপ্রিয়তা আজও কমার বদলে বরং বেড়েই
চলেছে। চিনাদের সস্তা তালার পাশে জনপ্রিয় তালা হল আলীগড় তালা। উত্তরপ্রদেশের আলীগড় শহর তালা তৈরিতে বেশ কয়েক কদম আগে। ১৮৭০ সালে আলীগড়ে জনসন অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি তালা তৈরির
কারখানা বসানো হয়। ভারতীয় এক ব্যক্তিও সেখানে তালা কারখানার পত্তন করে বিদেশ থেকে
তালা তৈরির কারিগর নিয়ে আসে। কাঁচামাল - যেমন, শিট মেটাল আর ব্রোঞ্জ
বিদেশ থেকেই আনা হত। এখানে মূলত জার্মান কারুবিদ্যা ব্যবহার
করে তালা বানানো হতে থাকে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এই দুটি কারখানার
আরও উন্নতি হয়, যেখানে প্রায়
দু-তিন হাজার তালা কারিগর কাজ করতেন। আলীগড় ছাড়িয়ে আশেপাশের জেলাতেও তালা তৈরির ছোটো ছোটো কারখানা চালু
হয়। কিছু কিছু পরিবারে বংশপরম্পরায় তালা বানানোর কাজ চলতে থাকলে সেইসব
পরিবার তালা বানাতে এত দক্ষ হয়ে পড়ে,
তাদের খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আলীগড়ের শিল্পীদের
তৈরি নানা আকারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যময় তালা বিদেশের বাজারেও প্রভূত সুনামের অধিকারী
হয়।
ইলেক্ট্রনিক
শিল্পের উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল তালা তৈরি হওয়া শুরু হতে তালা শিল্পীদের
কদর কমতে থাকে ভারতের বাজারে। গাড়ি,
ব্যাঙ্ক, বাড়ি সর্বত্র এখন স্মার্ট কার্ড বা রিমোট
কন্ট্রোল্ড তালা ব্যবহারের চল। যে তালা শিল্প একদা কুটির শিল্পের জায়গা
নিয়ে ফেলেছিল, বিশ্বায়নের
দাপটে সেই শিল্প এখন বড়ো বড়ো কোম্পানির হাতে চলে যাওয়ায় পারিবারিক শিল্পকর্ম ছেড়ে অনেক
কারিগর এখন অন্য শ্রমের কাজ করে পেট ভরায়। বদলে যায়
সময়, বদলায় সভ্যতা,
প্রযুক্তি গিলে ফেলে কুটির শিল্প। তাই তালাকে
ছোটো করে তুলেছে, ফুরিয়ে যাচ্ছে চাবি ঝুলিয়ে রাখার প্রয়োজন। তবুও তালা
শিল্পীদের শিল্পকর্ম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে।
_____
দারুন লাগলো।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteধন্যবাদ রুমেলা!
Deleteখুব ভালো লেগেছে দাদা।
ReplyDeleteধন্যবাদ অংশু
Deleteতালা ...লা লা লা লা ... আমিও তালা ভাঙা শিখব, লোকের উপকার করতে হবে তো!!
ReplyDeleteদারুণ সরেস প্রবন্ধ
হি হি। শেষে প্রকাশন ছেড়ে...
Delete