ভূতপাঁচালী
সুস্মিতা কুণ্ডু
ব্রহ্মদত্যি বড্ড রাগী
মামদো ভারি হুমদো,
স্কন্ধকাটা হারিয়ে মাথা
হয়েছে বেজায় জব্দ।
পেত্নি বলে দাঁত খিঁচিয়ে
স্নো পাউডার চাই,
শাঁকচুন্নি দুঃখে ভাবে
মরেও শান্তি নাই।
ডাকিনী আর যোগিনী
দুই বোনেতে ঝগড়া,
সুযোগ পেলেই এ ওর কাজে
শুধু যে দেয় বাগড়া।
একানড়ে ঠ্যাংটি দোলায়
গাছের মাথায় বসে,
নিশি ঘোরে পথে পথে
ডাক যে ছাড়ে কষে।
গলায় দড়ে-র ঘাড়ে ব্যথা
বদ্যি খুঁজে ফেরে,
বোকা পিশাচ রোগ সারাতে
মানুষ ওঝা ধরে।
ভূত-প্রেত সব আঁতকে ওঠে
কাণ্ড এ কী করল!
ওঝা এসে মন্ত্র ফুঁকে
ঝোলায় বুঝি ভরল!
ভূতেরা সব ছুট লাগাল
রইল না তল্লাটে,
রাজ্যজুড়ে সব মানুষের
শান্তিতে দিন কাটে।
_____
অলঙ্করণঃ সুজাতা চ্যাটার্জী
ভূতগুলো সব গেল কোথায়?
ReplyDeleteরিয়াল ছেড়ে ভার্চুয়ালে
এলো ভূতের দল,
ওঝার আপদ নেই সেখানে,
নেই মন্ত্রের বল।
সেথায় দেশি বিদেশি ভূত
করছে ঘেঁষাঘেঁষি,
ড্রাকুলা আর ব্রহ্মদত্যি
বসল পাশাপাশি।
ব্যানশী ভূতে নিশিরে কয়,
দেখা গলার জোর,
স্কন্ধকাটা জম্বি মিলে
খেলে গোলামচোর।
পেত্নি খোঁজে স্নো পাউডার
ব্লাডি মেরির কাছে,
ক্যাসপার আর একানড়ে
চড়তে গেল গাছে।
ডাকিনী কয় আমি উইচ,
যোগিনী কয় আমি,
বাবা ইয়াগা বলে এবার
থামাবি পাগলামি?
পত্রিকাতে ভূতের ভয়ে
পালায় এডিটর,
ওয়েব ছেড়ে গায়েব হল,
ফিরল নাকো আর।
দারুণ দারুণ! দেশী বিদেশী ভূত সব একদম এক জায়গায় এসে মজলিশ জমিয়েছে। খুব খুব মজা পেলাম পড়ে।
Delete