ভূত জংশন
সুশান্ত কুমার
ঘোষ
রাত বারোটার
শেষ ট্রেনটা ভূত জংশন থেকে
যাচ্ছে ছেড়ে! ভূতগুলো সব বলছে হেঁকে হেঁকে –
জলদি করো! ঘড়ির কাঁটা বারোর মাথা ছুঁলে,
জংশনটাই সেঁধিয়ে
যাবে গয়েশ্বরের কোলে!
তার মানে
তো ভীষণ বিপদ! ট্রেন যদি ফেল করে
খাঁচার
ভিতর থাকবে ভরা চিরকালের তরে।
খেঁকটি পেঁচি
ভাঙরা নাদুস যে যেখানে আছে
জল
ডিঙিয়ে, বন মাড়িয়ে ছুটছে ট্রেনের
কাছে।
গেছো-মেছো-ল্যাংড়া-বেতো
হুসহুসিয়ে ছোটে,
ভূত
আসছে লাখে লাখে একটাই ট্রেন মোটে।
কত যে ভূত
চতুর্দিকে, লক্ষ কয়েক হবে
জংশনে তো
একটাই ট্রেন জায়গা কোথায় পাবে?
জায়গা পেতে
চলছে লড়াই, চলছে লুটোপুটি
ভূতের
হাতেই ভূত মরছে, চলছে কাটাকুটি।
মানুষ মরে
ভূত হয় সব, ভূত মরে কী হবে!
তস্য ভূতের
খিদে পেলে কাদের গিলে খাবে!
এবার তবে
ভূতগুলোকে একটু চিনে নিই,
ভূতসহ
ওই তস্য ভূতের আসল স্বরূপ দিই।
ভূত ওরা কেউ
ছিল নাতো, সবাই মানুষ ছিল
রাষ্ট্রনীতির
কুটিল খেলায় দেশটা দু’ভাগ হল!
চলল ছুরি
এপার ওপার নাড়ি কাটার খেলা,
মধ্যরাতে
জংশনে তাই জমল ভূতের মেলা।
_____
অলঙ্করণঃ
সুজাতা চ্যাটার্জী
খুব সুন্দর।
ReplyDelete